অবাধে জাটকা ইলিশ নিধন
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম

ভোলার চরফ্যাসনে উপকূলের মিঠাপানি অধ্যুষিত মেঘনা-তেঁতুলিয়ার অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষনের অভিযান কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে অবাধে নিধন হচ্ছে জাটকা ইলিশ।
গতকাল মৎস্য কর্মকর্তা আয়োজনে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সপ্তাহ পালন করা হলেও বাস্তবে অভয়াআশ্রমে দেখা মেলেনি কোন অভিযানের। নেই কোন ঝটকা সংরক্ষণের প্রচারনা। নাম মাত্র ঝাটকা সংরক্ষণ সাপ্তাহের মিটিং দিয়ে দ্বায়িত্ব শেষ করেই ঘুমাচ্ছেন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকায় থাকায় ইলিশ শিকারে মেতে আছেন জেলেরা। যদিও মৎস্য কর্মকর্তা ঝাটকা সংরক্ষণ অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে দাবি করলে দেখাতে পারেনি কোন জেল জরিমানার প্রমানপত্র।
যদিও মৎস্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঘাটে ঘাটে মাছধরার সুযোগ দিয়ে জেলেদের থেকে ‘উপরী’ নেয়ার অভিযোগ আছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা নির্বিঘেœ নিষিদ্ধজোনে ইলিশসহ সবমাছ শিকার, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ অব্যহত রেখেছেন ।
জানা যায়, মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার মৎস্য অভয়াশ্রমে ইলিশ রক্ষায় প্রতিবছরের মতো এবারও পহেলা মার্চ থেকে দু’মাস পর্যান্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১শ’ কিমি এবং মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। কর্তৃপক্ষের নজরধারী না থাকায় নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন থেকেই মাছ শিকারে বেপরোয়া জেলেরা। নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের ছড়াছড়ির পাশাপাশি বাজারমূল্য বেশী থাকায় জেলেরা মাছ শিকার থেকে পিছুহাটছে না।
সরেজমিনে সামরাজ, বকসী, কচ্চপিয়া, বেতুয়া, নতুন সøুইজ, ঘোষেরহাট, গাছির খালসহ বেশ কিছু মৎস্য ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, চরফ্যাসন উপজেলার উপকুলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেরা ইলিশাসহ নানান প্রজাতির মাছ শিকারে মেতে রয়েছেন। জোয়ার-ভাটার সময় মেনে নদীতে জাল ফেলছেন এবং জাল তুলে হাক-ডাক দিয়ে ঘাটে মোহাজনের আড়তে শিকার করা মাছ ডাক দিয়ে বিক্রি করছেন। ঘাটের আড়ৎ থেকে প্যাকেট হয়ে ওই সব মাছ স্থানীয় বাজারে যাচ্ছে। যার বড় অংশ নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরেও চালান হচ্ছে। পাশাপাশি শহর বাজারসহ গ্রামগঞ্জের বাজারে বিক্রি হচ্ছে অবাধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুলারহাট থানার গাছির খাল ঘাটে জেলেরা জানান, জেলেরা দৈনিক আয় নির্ভর জীবন যাপন করছেন। নিষিদ্ধ সময়ে খাদ্য সহায়তা পান না জেলেরা। এজন্য জীবিকার প্রয়োজনে স্থানীয় প্রভাবশালী ফরিয়াদের সাথে চুক্তি ভিত্তিক মাছ শিকার করছেন তারা। মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের উপরি বাবদ তার ছোট নৌকায় ৫০০ টাকা ও বড় ট্রলারে ১০০০ টাকা দিয়ে থাকেন। ওই টাকা দিয়েই তারা মাছ শিকারে যান।
সামরাজ ঘাটের জেলে আবদুর রব জানান, নিষেধাজ্ঞায় স্থানীয় ঘাটের লোকজন প্রশাসনকে ম্যানেজের নামে নৌকা ও ট্রলার থেকে চাঁদা নিয়ে থাকেন। তাই তারা অবাধে মাছ শিকার করতে পারছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযানে আসার আগেই তারা খবর পেয়ে যান। তাই তাদের মাছ শিকারে কোন অসুবিধা হয়না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, জেলেরা যাতে অভয়াশ্রমে মাছ শিকার করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং চলছে। তবে জনবল ও অভিযানের বরাদ্দ না থাকায় জোরদার অভিযান করা যচ্ছেনা। তবে ঘাটে কারা জেলেদের কাছ থেকে সুবিধা দেয়ার নামে টাকা নিচ্ছে তা আমার জানা নাই।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ১৩ মে

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জবাব ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে : পাক আইএসপিআর প্রধান

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংঘাত এড়াতে সংযমের আহ্বান চীনের

উত্তরার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট চরমে

পাকিস্তানের কড়া জবাবের মুখে সাদা পতাকা উড়িয়ে নতি স্বীকার ভারতের

পাকিস্তানের পাল্টা হামলা, আরও হামলার আশঙ্কায় ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে এক কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু

পাকিস্তানে ভারতীয় হামলা, বিশ্বনেতাদের উদ্বেগ ও বিবৃতি

এই ডাক্তার রোগ নয়,পাপ সারায়!

বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫–২৭ সম্মিলিত পরিষদের শক্তিশালী প্যানেল চূড়ান্ত

আর্সেনালের বিপক্ষে জয়ের মানসিকতা নিয়েই নামবে পিএসজি

পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক

শামীম হাসানের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর ধর্ষণের হুমকিসহ গুরুতর অভিযোগ

রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন রাফিনিয়া

পাকিস্তানে ভারতীয় হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ : সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ছাত্রনেতাদের

গাজায় মানবিক বিপর্যয়, অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

মাতৃভূমির নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ: সারজিস আলম

পাকিস্তানে ভারতের হামলায় ৮জন নিহত